বন্দরে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে ফের চাঁদাবাজির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক- নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় এক যুবকের কাছ থেকে কাজের ভিসার নামে ছয় লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং পরে স্থানীয় যুবদল নেতার নেতৃত্বে চাঁদাবাজির ভয়াবহ অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রোস্তমপুর এলাকার মোঃ মাসুম (৩২) গত ৩১ জুলাই রাতে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে মাসুম উল্লেখ করেন, প্রায় এক বছর আগে মোঃ ইয়াসিন (৪০) নামে এক ব্যক্তি তাকে কাজাকিস্তানে বৈধ চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ছয় লক্ষ টাকা নেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তাকে বিদেশে পাঠাতে ব্যর্থ হন। টাকা ফেরত চাইলে ইয়াসিন কৌশলে এক লক্ষ টাকা নগদ এবং ঘরের কিছু জিনিসপত্র দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান।
চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো, ইয়াসিনের দেওয়া টাকার বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় এক যুবদল নেতা মিনহাজ মিঠু (৩৬) – যিনি দিঘলদি এলাকার বাসিন্দা – মাসুমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। ভীত ও আতঙ্কিত মাসুম বাধ্য হয়ে ৩৫ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও অবশিষ্ট ১৫ হাজার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, গত ২৮ জুলাই রাত ৯টা ৩০ মিনিটে বন্দর রেললাইনের পাশে মিনহাজ মিঠু তার ৭/৮ জন সহযোগী নিয়ে মাসুমের পথ আটকায়। তারা একত্রে চাঁদার বাকি টাকা দাবি করে এবং তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক অফিসে জমা দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। একই সঙ্গে হুমকি দেয়—বিষয়টি কারো সঙ্গে শেয়ার করলে তার বড় ধরনের সমস্যা হবে।
ভুক্তভোগী মাসুম জানান, ভয়ে বিষয়টি প্রথমে গোপন রাখলেও পরে আত্মীয়-স্বজন এবং এলাকার গণ্যমান্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে থানায় অভিযোগ করেন।
স্থানীয়রা জানান, মিনহাজ মিঠু দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় যুবদলের রাজনীতির ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি ও দখলবাজির মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত। তবে এসবের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
এর আগে মিনহাজ মিঠুর বিরুদ্ধে ১২ হাজার টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন সাবদী এলাকার এক ইঁট বালু ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া। পরে নানা তদবিরের মাধ্যমে বাচ্চু মিয়ার সাথে সে বিষয়ে মিমাংসা হয়।
সচেতন মহল মনে করছেন, রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে যেসব দুর্বৃত্ত চাঁদাবাজি ও প্রতারণা করছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা উচিত। যেন ভবিষ্যতে আর কেউ এমন ভয়ংকর ঘটনার শিকার না হয়।