কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)’র উদ্যোগে সীমান্ত জনসচেতনতা বৃদ্ধি: তেতুলবাড়ী ও রংমহলে পৃথক মতবিনিময় সভা
মো. মুনজুরুল ইসলাম
কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) কর্তৃক সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার ও স্থানীয় জনগণকে সচেতন করতে তেতুলবাড়ী ও রংমহল সীমান্ত এলাকায় পৃথক দুইটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০৩ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকেলে তেতুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ১৫.০০ থেকে ১৫.৪০ পর্যন্ত এবং রংমহল বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার খাসমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিকেল ১৬.০০ থেকে ১৬.৪০ পর্যন্ত অনুষ্ঠান দুটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)’র অধিনায়ক লে. কর্নেল রাশেদ কামাল রনি, এসইউপি, পিএসসি, জি। দুইটি সভাতেই এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ প্রায় ৪৫০–৪৬০ জন স্থানীয় নাগরিক অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয়দের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সভাগুলো উৎসবমুখর পরিবেশে পরিণত হয়।
সভায় অধিনায়ক বলেন, বর্তমানে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে এসআইআর (SIR: Special Intensive Revision) কার্যক্রম চলমান থাকায় বিএসএফ কর্তৃক সীমান্ত দিয়ে পুশ-ইন করার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, “সীমান্ত সুরক্ষায় আনসার-ভিডিপি ও স্থানীয় জনগণের সতর্ক ভূমিকা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
অধিনায়ক স্থানীয় জনগণকে পুশ-ইন রোধে সতর্ক থাকতে, সীমান্ত গেইট পাহারা দিতে, সীমান্তের ওপারের আত্মীয়দের মাধ্যমে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে বিজিবিকে জানানো এবং যেকোন পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “সীমান্ত আইন মেনে চলা এবং যেকোন সন্দেহজনক কার্যক্রম তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবিকে জানানো প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব।” অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানব পাচার, মাদক, অস্ত্র ও গরু চোরাচালান দেশের সামাজিক স্থিতিশীলতা ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর ক্ষতির কারণ—বলে সতর্ক করেন তিনি।
স্থানীয়দের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন,শূন্য লাইন অতিক্রম না করা। সন্ধ্যার পর সীমান্ত এলাকায় অবস্থান এড়িয়ে চলা। চোরাকারবারী ও পাচারকারীদের সামাজিকভাবে প্রতিহত করা মাদককে সামাজিকভাবে বর্জন করা। সীমান্ত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সতর্ক থাকা, গবাদিপশু শূন্য লাইনে না নেওয়া, ভারতীয় জমি লিজ বা চাষ না করা। অকারণে সীমান্ত এলাকায় গমন না করা, অধিনায়ক ভবিষ্যতেও বিজিবির এ ধরনের জনসচেতনতামূলক সভা ও কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন।
সভায় উপস্থিত স্থানীয় জনগণ বিজিবির উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়ে পুশ-ইনসহ সকল প্রকার সীমান্ত অপরাধ রোধে বিজিবির সঙ্গে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)’র পক্ষ থেকে সকলের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।








