কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের সীমান্ত ও অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে এক অভূতপূর্ব অগ্রগতি। দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো এখন অনেক বেশি নিরাপদ ও স্থিতিশীল। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দৃঢ় নেতৃত্ব, নিবিড় তত্ত্বাবধান ও পেশাদার মনোভাব।
বর্তমান বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, ওএসপি, বিএসপি, এসইউপি, বিজিবিএম, এনডিসি, পিএসসি, এমফিল-এর নেতৃত্বে সীমান্ত এলাকায় আগের মতো অঘটনের খবর এখন আর শোনা যায় না। বিশেষ করে কুষ্টিয়া জেলার সীমান্ত অঞ্চলগুলো, যেখানে অতীতে চোরাচালান, মাদক ও মানবপাচারের মতো ঘটনা ঘটত, সেখানে এখন শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিজিবির কঠোর নজরদারি, টহল বৃদ্ধি ও জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনের ফলে সীমান্তে এখন বিরাজ করছে স্থিতিশীলতা ও আস্থা।
মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বিজিবি এখন আরও আধুনিক, দক্ষ ও জনবান্ধব বাহিনীতে রূপ নিচ্ছে। তিনি সেনাসদরে সামরিক প্রশিক্ষণ পরিদপ্তরের পরিচালক, ৯ আর্টিলারি ব্রিগেড এবং ১৭ পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। সীমান্ত নিরাপত্তায় তার কৌশলগত চিন্তা ও আধুনিক ব্যবস্থাপনা বিজিবিকে দিয়েছে নতুন গতি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দেশের সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। ২০২৪ সালের ২৩ জুন তিনি সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা ও দক্ষতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তায় বিজিবি ও সেনাবাহিনীর পারস্পরিক সমন্বিত কার্যক্রম এখন জাতীয় নিরাপত্তার অন্যতম স্তম্ভে পরিণত হয়েছে।
বর্ডার এলাকায় শান্তিপূর্ণ চাষাবাদে বিজিবির ভূমিকা অতুলনীয় বিশেষ করে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তঘেঁষা ধর্মদহ গ্রামে এখন চলছে শান্তিপূর্ণ চাষাবাদ। সীমান্তবাসীরা নির্ভয়ে মাঠে কাজ করছেন, নিরাপদে দিন কাটাচ্ছেন। স্থানীয়দের মতে, এই শান্তিপূর্ণ পরিবেশের পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে বিজিবির নিয়মিত টহল ও কার্যকর তদারকি। ধর্মদহ গ্রামের ইউপি সদস্য নান্টু মেম্বার বলেন,
“বর্ডারের কোল ঘেঁষে আমাদের জমিতে আমরা নিশ্চিন্তে আবাদ করি। বিজিবির টহল জোরদারের কারণে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা কোনো রকম সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে না। বিজিবির সাহায্য সহযোগিতায় আমরা এখন নিরাপদে চাষাবাদ করতে পারছি।” তিনি আরও জানান, “প্রতি বছরের মতো এবারও সীমান্তের পাশে ভালো ফসল উৎপাদন করেছি। কোনো সমস্যা দেখা দিলেই বিজিবির সদস্যরা দ্রুত ব্যবস্থা নেন। তাদের তৎপরতার কারণেই সীমান্তে এখন শান্তি বিরাজ করছে।”
সীমান্তবর্তী ধর্মদহ গ্রামের আরেক বাসিন্দা জবেদ আলী বলেন, “বিজিবির সঠিক নেতৃত্বের কারণেই আমরা এখন শান্তিতে বসবাস করছি। অতীতের তুলনায় এখন সীমান্তে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই। আগের সরকার আমলেও এতটা নিরাপদ পরিবেশ ছিল না। তাই আমরা এলাকাবাসী বিজিবি মহাপরিচালককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে বিএসএফ সদস্যরাও আগের মতো আচরণ করেন না। বিজিবির টহল ও উপস্থিতির কারণে সীমান্তে শৃঙ্খলা বজায় আছে।”
স্থানীয়দের মতে, শান্ত সীমান্ত, নিরাপদ বাংলাদেশ
বিজিবির দৃঢ় নেতৃত্ব, আধুনিক ব্যবস্থাপনা ও সেনাপ্রধানের সার্বিক তত্ত্বাবধানের ফলেই সীমান্তে আজ শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কৃষকরা নির্বিঘ্নে মাঠে কাজ করছেন, শিশু-কিশোরেরা ভয়হীনভাবে স্কুলে যাচ্ছে। কোন রকম ভয় ভীতি ও আতঙ্ক ছাড়াই বর্ডার এলাকার এলাকাবাসীর নির্বিঘ্নে চলাফেরা করছে। তাই জনমনে এখন একটাই বার্তা—“নিরাপদ সীমান্ত, শান্ত বাংলাদেশ।"
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ আক্তার হোসেন, মোবাইল০১৬৩১৩২৭৮৭০।
All rights reserved © 2025 somoyprotikkhon.com