মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আয়মানকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
উত্তরার দিয়াবাড়িতে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তর ঘটনায় পাচ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে মাড়াগেলেন মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আয়মান (১০) । আজ সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন আয়মান।
শুক্রবার ২৫ জুলাই তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের ভেদেরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুরে বাদ ইশায়’ হাওলাদার বাড়ি জামে মসজিদে জানাজা নামাজ শেষ পারিবারিক কবরস্থানে তার দাদা মাজেদ হাওলদারের পাশে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার গ্রামের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন পাড়া প্রতিবেশী আয়মানকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন।
তার চাচাতবোন বান্ধবী ইকরা (৯) কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, আমার বান্ধবী আর আমার সাথে খেলবে না। আয়মান আমার ভালো বন্ধু ছিলো। আমার সাথে দেশে আসলেই খেলা করত। সে আর আসবে না আমি এখন কার সাথে খেলব। আয়মান মনেনি মিথ্যা কথা মনে হচ্ছে।
এলাকাবাসীর দাবি, এ ধরনের প্রশিক্ষণ বিমান লোকালয় উড়ানো ঠিক হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। পাশাপাশি এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সতর্কতা থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারের প্রতি। আয়মান এর মা ,বাবার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার বানোরর। সেই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল। নিহত আয়মান বাবা ইসমাইল হোসেন বাপ্পি পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
নিহতের বাবা বাপ্পি হাওলাদার বলেন, আমি কাকে নিয়ে ঘুমাব। আমার মামনি আয়মান রাতে একা আমাকে ছাড়া কিভাবে থাকবে। ও আল্লাহ, আল্লাহ, আল্লাহ।